১০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাঙ্গলকোটে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিমিয়সভা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা ও পৌরসভা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নাঙ্গলকোট সরকারি কলেজের শহীদ মুন্তাসির গ্রন্থাগার মিলনায়তনে এ মতবিনিমিয়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জামায়াতে ইসলামী নাঙ্গলকোট উপজেলা আমির মাওলানা জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং নাঙ্গলকোট পৌরসভা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিস শুরা সদস্য মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত।

ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।

জামায়াতে ইসলামী মানবতাবাদী সংগঠন। গণমাধ্যম ও আপনারা আমাদের ভিন্নভাবে জানতেন। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে, এটি দেশি-বিদেশি একটি গোষ্ঠী চায় না। আপনারা অশান্তিতে থাকলে কাদের রাজনৈতিক লাভ হয়, তা আপনাদের অজানা নয়।
হিন্দু মানেই আওয়ামী লীগ নয়, তারা আপনাদের সব সময় বিভক্ত করে রাখত। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা শতভাগ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে। জামায়াত ক্ষামতায় গেলে হিন্দুদের লাভ বেশি। কারণ জামায়াতে ইসলামী মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে।

আপনাদের কেউ কোণঠাসা করে রাখবে, ট্যাগ দিয়ে রাখবে, মতের স্বাধীনতা দেবে না এ সুযোগ আপনারা দেবেন না। আমরা বৈষম্য দূর করতে চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াতের একজন কর্মী পর্যন্ত সংগঠনের আনুগত্য অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। এ দেশে সংখ্যালঘু সংখ্যা গুরু বলতে কোনো কিছু নেই, সবাই এ মাটির সন্তান, জামায়াতে ইসলামী সেটা নিশ্চিত করবে। কেনো আপনাদের মন্দির, বাড়িঘর পাহারা দিতে হবে? আমাদের মুসলমানের মসজিদ যেমন পাহারা দিতে হয় না, আপনাদের মন্দিরও তেমনি পাহারা দিতে হবে না, জামায়াত সেটি নিশ্চিত করবে।

আপনারা আমাদের প্রতিবেশী, আমরা একই জায়গায় বসবাস, ব্যবসা ও বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে সামাধান করি, ধর্মীয় জায়গায় কেনো বিভেদ পোষণ করব। বিভিন্ন গুজবের বিষয়ে আপনারা সচেতন থাকবেন। আমরা দেশকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট্রান, মুসলিম সবার নিরাপদ জনপদে পরিণত করব। আমরা সেবা ও নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনাদের পাশে থাকব।’
মতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নাঙ্গলকোট উপজেলা সভাপতি বাবু জীবন কৃষ্ণ গোস্বামী, সাধারণ সম্পাদক জয়দেব মজুমদার, সিনিয়র সহসভাপতি রতন চন্দ্র দে, জেলা শ্রমিক কল্যাণ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, পৌরসভা জামায়াত আমির মাওলানা এস এম মহি উদ্দিন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নাঙ্গলকোট উপজেলা সভাপতি রাজিব কিশোর দাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা সিনিয়র উপদেষ্টা মাস্টার গৌরঙ্গ মজুমদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভ্রত সাহা শুভ, সদস্য রাজন, নাঙ্গলকোট যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি হৃদয় চন্দ্র শীল, সাধারণ সম্পাদক বাসু ঘোষ গোস্বামী, জামায়াতে ইসলামী নাঙ্গলকোট উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আলী, সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম হাছান, সহ-সেক্রেটারি মাওলানা এয়াছিন মজুমদার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নাঙ্গলকোট উপজেলা সভাপতি ওমর ফারুক মিয়াজী, পৌরসভা সভাপতি মাস্টার সোলাইমান, নাঙ্গলকোট সরকারি কলেজ গ্রন্থাগারিক এ.টি.এম জিয়াউল হক জিয়া, উপজেলা জামায়াত নেতা মাওলানা খলিলুর রহমান, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।

ট্যাগ :
লেখকের পরিচিতি

নাঙ্গলকোটে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিমিয়সভা

আপডেট সময় : ১০:১৮:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা ও পৌরসভা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে নাঙ্গলকোট সরকারি কলেজের শহীদ মুন্তাসির গ্রন্থাগার মিলনায়তনে এ মতবিনিমিয়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জামায়াতে ইসলামী নাঙ্গলকোট উপজেলা আমির মাওলানা জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং নাঙ্গলকোট পৌরসভা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিস শুরা সদস্য মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত।

ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।

জামায়াতে ইসলামী মানবতাবাদী সংগঠন। গণমাধ্যম ও আপনারা আমাদের ভিন্নভাবে জানতেন। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে, এটি দেশি-বিদেশি একটি গোষ্ঠী চায় না। আপনারা অশান্তিতে থাকলে কাদের রাজনৈতিক লাভ হয়, তা আপনাদের অজানা নয়।
হিন্দু মানেই আওয়ামী লীগ নয়, তারা আপনাদের সব সময় বিভক্ত করে রাখত। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা শতভাগ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে। জামায়াত ক্ষামতায় গেলে হিন্দুদের লাভ বেশি। কারণ জামায়াতে ইসলামী মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে।

আপনাদের কেউ কোণঠাসা করে রাখবে, ট্যাগ দিয়ে রাখবে, মতের স্বাধীনতা দেবে না এ সুযোগ আপনারা দেবেন না। আমরা বৈষম্য দূর করতে চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াতের একজন কর্মী পর্যন্ত সংগঠনের আনুগত্য অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। এ দেশে সংখ্যালঘু সংখ্যা গুরু বলতে কোনো কিছু নেই, সবাই এ মাটির সন্তান, জামায়াতে ইসলামী সেটা নিশ্চিত করবে। কেনো আপনাদের মন্দির, বাড়িঘর পাহারা দিতে হবে? আমাদের মুসলমানের মসজিদ যেমন পাহারা দিতে হয় না, আপনাদের মন্দিরও তেমনি পাহারা দিতে হবে না, জামায়াত সেটি নিশ্চিত করবে।

আপনারা আমাদের প্রতিবেশী, আমরা একই জায়গায় বসবাস, ব্যবসা ও বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে সামাধান করি, ধর্মীয় জায়গায় কেনো বিভেদ পোষণ করব। বিভিন্ন গুজবের বিষয়ে আপনারা সচেতন থাকবেন। আমরা দেশকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট্রান, মুসলিম সবার নিরাপদ জনপদে পরিণত করব। আমরা সেবা ও নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনাদের পাশে থাকব।’
মতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নাঙ্গলকোট উপজেলা সভাপতি বাবু জীবন কৃষ্ণ গোস্বামী, সাধারণ সম্পাদক জয়দেব মজুমদার, সিনিয়র সহসভাপতি রতন চন্দ্র দে, জেলা শ্রমিক কল্যাণ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, পৌরসভা জামায়াত আমির মাওলানা এস এম মহি উদ্দিন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নাঙ্গলকোট উপজেলা সভাপতি রাজিব কিশোর দাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা সিনিয়র উপদেষ্টা মাস্টার গৌরঙ্গ মজুমদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভ্রত সাহা শুভ, সদস্য রাজন, নাঙ্গলকোট যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি হৃদয় চন্দ্র শীল, সাধারণ সম্পাদক বাসু ঘোষ গোস্বামী, জামায়াতে ইসলামী নাঙ্গলকোট উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আলী, সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম হাছান, সহ-সেক্রেটারি মাওলানা এয়াছিন মজুমদার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নাঙ্গলকোট উপজেলা সভাপতি ওমর ফারুক মিয়াজী, পৌরসভা সভাপতি মাস্টার সোলাইমান, নাঙ্গলকোট সরকারি কলেজ গ্রন্থাগারিক এ.টি.এম জিয়াউল হক জিয়া, উপজেলা জামায়াত নেতা মাওলানা খলিলুর রহমান, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।