০৬:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাঙ্গলকোটে প্রবাসীর মেয়েকে ফিল্মি স্টাইলে তুলে নিলেন ছাত্রলীগ নেতা!

  • সাইফুল ইসলাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১১৬ দেখেছেন

সাইফুল ইসলাম
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড চাটিতলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী নিপা আক্তার (১৮) কে বৃহস্পতিবার রাতেগায়ে হলুদ অনুষ্ঠান থেকে অস্ত্র মুখে তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা একই গ্রামের উত্তর পাড়ার কামাল হোসেনের ছেলে জুনায়েদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের চাটিতলা গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে নিপা আক্তারের গত ২৪ আগস্ট কোট এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ উপজেলার কাঠনী পাড়া বরল্লা গ্রামের সাইদুল হকের পুত্র বদিউল আলমের সাথে। বর ও কনে পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে কনে কে শশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার রাতে কনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলাকালীন সময়ে একই গ্রামের কামাল হোসেনের পুত্র ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা জুনায়েদ, আদ্রা উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মিলন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আকিল, ছাত্রলীগ নেতা মনসুর, জিসানের নেতৃত্বে প্রায় ৭০/৮০ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটপাট করে নিপা আক্তার কে টেনে হেছড়ে তুলে নিয়ে যায়।

এ সময় তাদের হামলায় নিপা আক্তারের মা নয়ন বেগম সহ কয়েকজন আহত হয়। তাদের শোর চিৎকারে হামলাকারীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। ৯৯৯ এ ও থানা পুলিশে বার বার ফোন করে সাহায্য চাইলেও তাদেরকে কেউ কোন সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ করেন নিপা আক্তারের পিতা আব্দুল কাইয়ুম ও মা নয়ন বেগম। হামলাকারিরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত একাধিক জনকে মুঠোফোনে ফোন দিলেও তাদের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মাহমুদ আকিল বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। তাদের সাথে আমার পারিবারিক বিরোধ থাকায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম রুবেল বলেন, আমি ঢাকায় ছাত্রলীগের সমাবেশ নিয়ে ব্যাস্থ ছিলাম। বিষয়টি আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের বাড়ি ওই গ্রামে হওয়ায় বিষয়টি সমাধানে উনাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

নাঙ্গলকোট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি জানার পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও মেয়েটিকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।

লেখকের পরিচিতি

নাঙ্গলকোটে প্রবাসীর মেয়েকে ফিল্মি স্টাইলে তুলে নিলেন ছাত্রলীগ নেতা!

আপডেট সময় : ০৮:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সাইফুল ইসলাম
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড চাটিতলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী নিপা আক্তার (১৮) কে বৃহস্পতিবার রাতেগায়ে হলুদ অনুষ্ঠান থেকে অস্ত্র মুখে তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা একই গ্রামের উত্তর পাড়ার কামাল হোসেনের ছেলে জুনায়েদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের চাটিতলা গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে নিপা আক্তারের গত ২৪ আগস্ট কোট এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ উপজেলার কাঠনী পাড়া বরল্লা গ্রামের সাইদুল হকের পুত্র বদিউল আলমের সাথে। বর ও কনে পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে কনে কে শশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার রাতে কনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলাকালীন সময়ে একই গ্রামের কামাল হোসেনের পুত্র ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা জুনায়েদ, আদ্রা উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মিলন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আকিল, ছাত্রলীগ নেতা মনসুর, জিসানের নেতৃত্বে প্রায় ৭০/৮০ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটপাট করে নিপা আক্তার কে টেনে হেছড়ে তুলে নিয়ে যায়।

এ সময় তাদের হামলায় নিপা আক্তারের মা নয়ন বেগম সহ কয়েকজন আহত হয়। তাদের শোর চিৎকারে হামলাকারীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। ৯৯৯ এ ও থানা পুলিশে বার বার ফোন করে সাহায্য চাইলেও তাদেরকে কেউ কোন সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ করেন নিপা আক্তারের পিতা আব্দুল কাইয়ুম ও মা নয়ন বেগম। হামলাকারিরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত একাধিক জনকে মুঠোফোনে ফোন দিলেও তাদের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মাহমুদ আকিল বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। তাদের সাথে আমার পারিবারিক বিরোধ থাকায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম রুবেল বলেন, আমি ঢাকায় ছাত্রলীগের সমাবেশ নিয়ে ব্যাস্থ ছিলাম। বিষয়টি আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের বাড়ি ওই গ্রামে হওয়ায় বিষয়টি সমাধানে উনাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

নাঙ্গলকোট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি জানার পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও মেয়েটিকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।