০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাঙ্গলকোট যুবদলের সম্মেলন আজ দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, উত্তেজনা

আজ মঙ্গলবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল গফুর ভুঁইয়া এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়ার অনুসারীদের মধ্যে কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় এই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আজ বেলা দুটায় নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা যুবদলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। একই সময়ে ওই সম্মেলনস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গফুর ভুঁইয়া সমাবেশ ডেকেছেন। সমাবেশে ৫০ হাজার লোক জড়ো করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। দলীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আবদুল গফুর ভুঁইয়াকে বিএনপি মনোনয়ন না দিয়ে মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়াকে মনোনয়ন দেয়। এরপর থেকে উভয় নেতার নেতৃত্বে নাঙ্গলকোটে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ-সংগঠনগুলোয় দ্বিধাবিভক্তি ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি’র ঐক্যবদ্ধতা শেষ হয়ে গেছে।

উভয় নেতাই চান, তাঁর অনুসারীরা যুবদলের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হোক। এ নিয়ে রয়েছে উভয় পক্ষের জোর তৎপরতা। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়ার অনুসারী আনোয়ার হোসেন উপজেলা যুবদলের সভাপতি ও কলিম উল্লাহ সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে গফুর ভুঁইয়ার অনুসারী কাউছার আলম সভাপতি ও মাজহারুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। গত কয়েক দিনে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

গত শনিবার দিনব্যাপী উপজেলার গোহারুয়া গ্রামে গফুর ভুঁইয়া তাঁর অনুসারীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। ওই সভায় তিনি মঙ্গলবার নাঙ্গলকোট উপজেলা সদরে ৫০ হাজার লোক জড়ো করার ঘোষণা দেন। নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মোকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কলিম উল্লাহ বলেন, ‘আধা কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে সম্মেলন এবং গফুর ভুঁইয়ার সমাবেশ হচ্ছে। তিনি পাল্টা কর্মসূচি দেওয়ায় অশান্তি দেখা দিয়েছে। কিন্তু আমরা শান্তিপূর্ণ সম্মেলন করব।’আবদুল গফুর ভুঁইয়া বলেন, ‘যুবদলের একাংশ দিয়ে কমিটি গঠন করা চলবে না। কার পক্ষে নাঙ্গলকোটে বিএনপির জনসমর্থন বেশি, সেটা জানান দেওয়ার জন্য বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীকে হাজির করা হবে।’উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়া বলেন, ‘শুনেছি, গফুর ভুঁইয়ার লোকজন সম্মেলনে বাধা দেবে। এখন কী করব, সেটাই ভাবছি।

নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকায় আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। সংঘাত এড়ানোর জন্য পুলিশ সবকিছুই করবে।’ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের সম্মেলন হবে। জেলার নেতারা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।’

লেখকের পরিচিতি

নাঙ্গলকোট যুবদলের সম্মেলন আজ দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, উত্তেজনা

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০১০

আজ মঙ্গলবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল গফুর ভুঁইয়া এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়ার অনুসারীদের মধ্যে কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় এই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আজ বেলা দুটায় নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা যুবদলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। একই সময়ে ওই সম্মেলনস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গফুর ভুঁইয়া সমাবেশ ডেকেছেন। সমাবেশে ৫০ হাজার লোক জড়ো করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। দলীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আবদুল গফুর ভুঁইয়াকে বিএনপি মনোনয়ন না দিয়ে মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়াকে মনোনয়ন দেয়। এরপর থেকে উভয় নেতার নেতৃত্বে নাঙ্গলকোটে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ-সংগঠনগুলোয় দ্বিধাবিভক্তি ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি’র ঐক্যবদ্ধতা শেষ হয়ে গেছে।

উভয় নেতাই চান, তাঁর অনুসারীরা যুবদলের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হোক। এ নিয়ে রয়েছে উভয় পক্ষের জোর তৎপরতা। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়ার অনুসারী আনোয়ার হোসেন উপজেলা যুবদলের সভাপতি ও কলিম উল্লাহ সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে গফুর ভুঁইয়ার অনুসারী কাউছার আলম সভাপতি ও মাজহারুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। গত কয়েক দিনে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

গত শনিবার দিনব্যাপী উপজেলার গোহারুয়া গ্রামে গফুর ভুঁইয়া তাঁর অনুসারীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। ওই সভায় তিনি মঙ্গলবার নাঙ্গলকোট উপজেলা সদরে ৫০ হাজার লোক জড়ো করার ঘোষণা দেন। নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মোকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কলিম উল্লাহ বলেন, ‘আধা কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে সম্মেলন এবং গফুর ভুঁইয়ার সমাবেশ হচ্ছে। তিনি পাল্টা কর্মসূচি দেওয়ায় অশান্তি দেখা দিয়েছে। কিন্তু আমরা শান্তিপূর্ণ সম্মেলন করব।’আবদুল গফুর ভুঁইয়া বলেন, ‘যুবদলের একাংশ দিয়ে কমিটি গঠন করা চলবে না। কার পক্ষে নাঙ্গলকোটে বিএনপির জনসমর্থন বেশি, সেটা জানান দেওয়ার জন্য বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীকে হাজির করা হবে।’উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়া বলেন, ‘শুনেছি, গফুর ভুঁইয়ার লোকজন সম্মেলনে বাধা দেবে। এখন কী করব, সেটাই ভাবছি।

নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকায় আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। সংঘাত এড়ানোর জন্য পুলিশ সবকিছুই করবে।’ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের সম্মেলন হবে। জেলার নেতারা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।’