
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে মাথায় পড়ে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আহত শিক্ষার্থীর নাম নূর ইসলাম ওরফে নাজমুল (১১)। সে চারিজানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র এবং উপজেলার চারিজানিয়া গ্রামের আতিকুর রহমানের ছেলে। তাকে নাঙ্গলকোট বাঙ্গড্ডা বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগেও এ বিদ্যালয়ে ছাদ থেকে পলেস্তারা পড়ে আরও তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছিল।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরুতে সেমিপাকা ভবনে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯৮ সালে সেমিপাকা ভবনের চালের টিন সরিয়ে ছাদ দেওয়া হয়। ভবন নির্মাণে নিম্নমানের কাজ হওয়ার কারণে দিনে দিনে ভবনের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়ে। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কর্মকর্তারা বিদ্যালয় পরিদর্শন করে প্রতিবেদনও দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মিত হয়নি।
প্রধান শিক্ষক নাজমা আক্তার বলেন, গতকাল শনিবার পরীক্ষা ছিল। এ সময় হঠাৎ ছাদের পলেস্তারা খসে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নূর ইসলামের মাথায় পড়ে। এতে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এর আগেও আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী পলেস্তারা খসে পড়ে আহত হয়। বিদ্যালয় ভবনের অবস্থা খুবই খারাপ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, শিগগিরই ওই বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে।