০৯:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রায় ৪ একর পুকুর লীজ, জমি বন্ধক, গাছ বিক্রি, পুকুরের মাটি বিক্রি, গরু বাজারের আয়, প্রবাসীদের অনুদান ও দৈনন্দিন কালেকশানের

নাঙ্গলকোটে মসজিদ কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের ভূলুয়াপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি আরিফুল আলম নোমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের প্রতিবাদে ভূলুয়াপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদের মুসল্লিদের আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা বৃহস্পতিবার বিকেলে মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- মসজিদের মোতয়াল্লি আহসান হাবিব, সদস্য সচিব হাজী মফিজুর রহমান, অর্থ সম্পাদক আব্দুল করিম, সদস্য আবুল কালাম, হাজী আবুল বাশার, হাজী আব্দুর রশিদ, আব্দুল গফুর, রফিকুল ইসলাম, হাফেজ আবুল আসাদ, তোফায়েল ইয়াছিন, শাহআলম, প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৪৭ সালে মৃত হাজী কেরামত আলী দানকৃত ৯৭ শতক জায়গার উপর ভূলুয়াপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ নিমার্ণ করেন এবং দলিলের শর্ত মোতাবেক বংশ পরস্পরায় হাজী কেরামত আলীর ওয়ারিশগণ জ্যৈষ্ঠতার ভিত্তিতে মোতয়াল্লির দায়িত্ব পালন করার কথা রয়েছে। সে হিসাবে হাজী কেরামত আলীর ওয়ারিশ হায়াতুন্নবী বর্তমানে মসজিদের মোতয়াল্লি। অপরদিকে, বরুড়ার জমিদার বংশের দানবীর মহিলা একায়েতুন্নেছা চৌধুরানী ১৯৫৩ সালে মসজিদের ব্যয়ভার মিটানোর জন্য মসজিদের নামে ৩ একর ৭৭ শতক পুকুর দান করেন। এছাড়া ভূূলুয়াপাড়ার এএনএম নূর মোহাম্মদ ২০০০ সালে মসজিদের জন্য ১৮ শতক জমি দান করেন।

কিন্তু অবৈধ সভাপতি দাবিদার আরিফুল আলম নোমানের মসজিদে ১শতক সম্পত্তিও নেই। তার দাদা ও পিতা মসজিদের বিশ্বস্ত মুসল্লি ছিলেন। সে সুবাধে আরিফুল আলম নোমানকে মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। এ সুযোগে সে মসজিদের ৩২ বছরের হিসাবে ব্যাপক অনিয়ম ও দুনর্ীতি করে। আরিফুল আলম নোমান পরবতর্ীতে ওয়াকফ এস্টেটে ভূয়া কাগজপত্র দাখিল করে নিজেকে মোতয়াল্লি করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট ভূয়া কমিটি নিয়ে আসে। যাহা মসজিদের সকল মুসল্লি একযোগে প্রত্যাক্ষাণ করে। উক্ত ভূয়া কমিটির বিরুদ্ধে মসজিদের দালিলিক মোতয়াল্লি হায়াতুন্নবী বাদী হয়ে হাইকোটে রিট পিটিশন দাখিল করে। যাহা বর্তমানে বিচারধীন।

বক্তরা মসজিদের প্রায় ৪ একর পুকুর লীজ, জমি বন্ধক, গাছ বিক্রি, পুকুরের মাটি বিক্রি, গরু বাজারের আয়, প্রবাসীদের অনুদান ও দৈনন্দিন কালেকশানের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করে আরিফুল আলম নোমানকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। এ ছাড়াও গত ১৪মে মুসল্লি সমাজ আরিফুল আলম নোমান গংদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুনর্ীতি ও অর্থ আত্মসাতের বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নিবার্হী অফিসার এবং ওয়াকফ ইন্সপেক্টর সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেন।

লেখকের পরিচিতি

প্রায় ৪ একর পুকুর লীজ, জমি বন্ধক, গাছ বিক্রি, পুকুরের মাটি বিক্রি, গরু বাজারের আয়, প্রবাসীদের অনুদান ও দৈনন্দিন কালেকশানের

নাঙ্গলকোটে মসজিদ কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৫:৩২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের ভূলুয়াপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি আরিফুল আলম নোমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের প্রতিবাদে ভূলুয়াপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদের মুসল্লিদের আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা বৃহস্পতিবার বিকেলে মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- মসজিদের মোতয়াল্লি আহসান হাবিব, সদস্য সচিব হাজী মফিজুর রহমান, অর্থ সম্পাদক আব্দুল করিম, সদস্য আবুল কালাম, হাজী আবুল বাশার, হাজী আব্দুর রশিদ, আব্দুল গফুর, রফিকুল ইসলাম, হাফেজ আবুল আসাদ, তোফায়েল ইয়াছিন, শাহআলম, প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৪৭ সালে মৃত হাজী কেরামত আলী দানকৃত ৯৭ শতক জায়গার উপর ভূলুয়াপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ নিমার্ণ করেন এবং দলিলের শর্ত মোতাবেক বংশ পরস্পরায় হাজী কেরামত আলীর ওয়ারিশগণ জ্যৈষ্ঠতার ভিত্তিতে মোতয়াল্লির দায়িত্ব পালন করার কথা রয়েছে। সে হিসাবে হাজী কেরামত আলীর ওয়ারিশ হায়াতুন্নবী বর্তমানে মসজিদের মোতয়াল্লি। অপরদিকে, বরুড়ার জমিদার বংশের দানবীর মহিলা একায়েতুন্নেছা চৌধুরানী ১৯৫৩ সালে মসজিদের ব্যয়ভার মিটানোর জন্য মসজিদের নামে ৩ একর ৭৭ শতক পুকুর দান করেন। এছাড়া ভূূলুয়াপাড়ার এএনএম নূর মোহাম্মদ ২০০০ সালে মসজিদের জন্য ১৮ শতক জমি দান করেন।

কিন্তু অবৈধ সভাপতি দাবিদার আরিফুল আলম নোমানের মসজিদে ১শতক সম্পত্তিও নেই। তার দাদা ও পিতা মসজিদের বিশ্বস্ত মুসল্লি ছিলেন। সে সুবাধে আরিফুল আলম নোমানকে মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। এ সুযোগে সে মসজিদের ৩২ বছরের হিসাবে ব্যাপক অনিয়ম ও দুনর্ীতি করে। আরিফুল আলম নোমান পরবতর্ীতে ওয়াকফ এস্টেটে ভূয়া কাগজপত্র দাখিল করে নিজেকে মোতয়াল্লি করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট ভূয়া কমিটি নিয়ে আসে। যাহা মসজিদের সকল মুসল্লি একযোগে প্রত্যাক্ষাণ করে। উক্ত ভূয়া কমিটির বিরুদ্ধে মসজিদের দালিলিক মোতয়াল্লি হায়াতুন্নবী বাদী হয়ে হাইকোটে রিট পিটিশন দাখিল করে। যাহা বর্তমানে বিচারধীন।

বক্তরা মসজিদের প্রায় ৪ একর পুকুর লীজ, জমি বন্ধক, গাছ বিক্রি, পুকুরের মাটি বিক্রি, গরু বাজারের আয়, প্রবাসীদের অনুদান ও দৈনন্দিন কালেকশানের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করে আরিফুল আলম নোমানকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। এ ছাড়াও গত ১৪মে মুসল্লি সমাজ আরিফুল আলম নোমান গংদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুনর্ীতি ও অর্থ আত্মসাতের বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নিবার্হী অফিসার এবং ওয়াকফ ইন্সপেক্টর সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেন।