০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সাত বছর আগেও তার বাবাও আত্মহত্যা করেন

নাঙ্গলকোটে মোবাইল না দেওয়ায় মায়ের সাথে অভিমানে শিশুর আত্মহত্যা!

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা দৌলখাঁড় ইউনিয়নের অশ্বদিয়া গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার পুত্র আরিফ হোসেন (১১) বৃহস্পতিবার সকালে মায়ের সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অশ্বদিয়া গ্রামের মৃত শাহজাহানের স্ত্রী কুলসুম আক্তার সকালে জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের কৈরাশ গ্রামে তার বড় বোন ছকিনা বেগমের বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার সময় তার ছেলে আরিফকে সঙ্গে করে না নেওয়ার কারণে সে তার মায়ের কাছে মোবাইল চায়। মা তাকে মোবাইল না দেওয়াতে আরিফ মায়ের সাথে রাগ করে তাদের বসতঘরে ভুতরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

আরিফের গ্রামের বাড়ী জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীহাস্য গ্রামে। পিতার মৃত্যুর পর থেকে আরিফ  তার মায়ের সাথে নানার বাড়ি অশ্বদিয়া থাকে। সে দেওভান্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্র।  নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

স্থানীয় নাছির উদ্দিন সরকার আমাদের নাঙ্গলকোটকে বলেন; গত প্রায় সাত বছর আগে ছেলের বাবাও গলায় ফাঁসি দিয়ে মারা গেছেন। বাবার মৃত্যুর পর তার মায়ের সাথে নানার বাড়ীতে বসাবাস ও লেখাপড়া করছে।

নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও দৌলখাঁড় ইউনিয়ন বিট অফিসার সোহেল মিয়া আমাদের নাঙ্গলকোটকে বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্ঘে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

লেখকের পরিচিতি

সাত বছর আগেও তার বাবাও আত্মহত্যা করেন

নাঙ্গলকোটে মোবাইল না দেওয়ায় মায়ের সাথে অভিমানে শিশুর আত্মহত্যা!

আপডেট সময় : ০২:৩১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা দৌলখাঁড় ইউনিয়নের অশ্বদিয়া গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার পুত্র আরিফ হোসেন (১১) বৃহস্পতিবার সকালে মায়ের সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অশ্বদিয়া গ্রামের মৃত শাহজাহানের স্ত্রী কুলসুম আক্তার সকালে জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের কৈরাশ গ্রামে তার বড় বোন ছকিনা বেগমের বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার সময় তার ছেলে আরিফকে সঙ্গে করে না নেওয়ার কারণে সে তার মায়ের কাছে মোবাইল চায়। মা তাকে মোবাইল না দেওয়াতে আরিফ মায়ের সাথে রাগ করে তাদের বসতঘরে ভুতরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

আরিফের গ্রামের বাড়ী জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীহাস্য গ্রামে। পিতার মৃত্যুর পর থেকে আরিফ  তার মায়ের সাথে নানার বাড়ি অশ্বদিয়া থাকে। সে দেওভান্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্র।  নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

স্থানীয় নাছির উদ্দিন সরকার আমাদের নাঙ্গলকোটকে বলেন; গত প্রায় সাত বছর আগে ছেলের বাবাও গলায় ফাঁসি দিয়ে মারা গেছেন। বাবার মৃত্যুর পর তার মায়ের সাথে নানার বাড়ীতে বসাবাস ও লেখাপড়া করছে।

নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও দৌলখাঁড় ইউনিয়ন বিট অফিসার সোহেল মিয়া আমাদের নাঙ্গলকোটকে বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্ঘে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।