০৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আল্লাহর ভালোবাসা আদায়ের পথ তাকওয়া

  • ফেরদৌস ফয়সাল
  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • ১৪২ দেখেছেন

তাকওয়া অর্থ আত্মরক্ষা করা, নিষ্কৃতি লাভ করা, ভয় করা। অর্থাৎ আল্লাহর ভয় এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভের আশায় অপরাধ, অন্যায় ও আল্লাহর অপছন্দের কথা ও কাজ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার নাম তাকওয়া।একবার হজরত উবাই ইবনে কাব (রা.)-কে হজরত ওমর (রা.) তাকওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, হে ওমর, পাহাড়ের দুই ধারে কাঁটাবন, মাঝখানে সরু পথ। এই অবস্থায় কীভাবে চলতে হবে। হজরত ওমর (রা.) জবাব দিলেন, ‘সাবধানে পথ চলতে হবে, গায়ে যেন কোনো কাঁটা না লাগে।’ হজরত কাব (রা.) বললেন, এটাই তাকওয়া।

সুরা বাকারার দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘এ সেই কিতাব এতে কোনো সন্দেহ নেই। সাবধানীদের জন্য এ পথপ্রদর্শক।’ রোজা ফরজ করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলতে গিয়েও আল্লাহ তাকওয়া অর্জনের কথা বলেছেন। সুরা বাকারার ১৮৩ আয়াতে বলা আছে, হে বিশ্বাসীগণ তোমাদের জন্য রোজার বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীদের দেওয়া হয়েছিল যাতে তোমরা সাবধান হয়ে চলতে পারো।

তাকওয়া অর্জনের সঙ্গে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে।

ভালোবেসে আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন, ঘৃণা করার জন্য নয়। কারো কারো মতে, তাকওয়া মানে আল্লাহকে ভয় করা। আবার কেউ কেউ বলেন, তাকওয়ার অর্থ হলো সব সময় আল্লাহর ব্যাপারে সচেতন থাকা। প্রতি বছর রমজান আসে, আমাদের তাকওয়ার বার্তা দিয়ে যায়।

খলিফা ওমর বিন আবদুল আজিজ (র.) বলেন, দিনে রোজা রাখা বা রাত জেগে ইবাদত করার নাম তাকওয়া নয়; বরং তাকওয়া হলো আল্লাহ যা ফরজ করেছেন তা মানা এবং যা হারাম করেছেন তা থেকে দূরে থাকা।

তাকওয়া অনুশীলনের সবচেয়ে উত্তম সময় রোজার মাস। আল্লাহর ভয়ে সব ধরনের অন্যায়, অত্যাচার ও পাপাচার বর্জন করে কোরআন ও সুন্নতের নিয়মানুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে, রমজানের আগে এবং পরেও। তাহলেই আল্লাহকে সন্তুষ্ট রাখা যাবে।

ট্যাগ :
লেখকের পরিচিতি

আল্লাহর ভালোবাসা আদায়ের পথ তাকওয়া

আপডেট সময় : ১১:৩৫:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

তাকওয়া অর্থ আত্মরক্ষা করা, নিষ্কৃতি লাভ করা, ভয় করা। অর্থাৎ আল্লাহর ভয় এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভের আশায় অপরাধ, অন্যায় ও আল্লাহর অপছন্দের কথা ও কাজ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার নাম তাকওয়া।একবার হজরত উবাই ইবনে কাব (রা.)-কে হজরত ওমর (রা.) তাকওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, হে ওমর, পাহাড়ের দুই ধারে কাঁটাবন, মাঝখানে সরু পথ। এই অবস্থায় কীভাবে চলতে হবে। হজরত ওমর (রা.) জবাব দিলেন, ‘সাবধানে পথ চলতে হবে, গায়ে যেন কোনো কাঁটা না লাগে।’ হজরত কাব (রা.) বললেন, এটাই তাকওয়া।

সুরা বাকারার দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘এ সেই কিতাব এতে কোনো সন্দেহ নেই। সাবধানীদের জন্য এ পথপ্রদর্শক।’ রোজা ফরজ করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলতে গিয়েও আল্লাহ তাকওয়া অর্জনের কথা বলেছেন। সুরা বাকারার ১৮৩ আয়াতে বলা আছে, হে বিশ্বাসীগণ তোমাদের জন্য রোজার বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীদের দেওয়া হয়েছিল যাতে তোমরা সাবধান হয়ে চলতে পারো।

তাকওয়া অর্জনের সঙ্গে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে।

ভালোবেসে আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন, ঘৃণা করার জন্য নয়। কারো কারো মতে, তাকওয়া মানে আল্লাহকে ভয় করা। আবার কেউ কেউ বলেন, তাকওয়ার অর্থ হলো সব সময় আল্লাহর ব্যাপারে সচেতন থাকা। প্রতি বছর রমজান আসে, আমাদের তাকওয়ার বার্তা দিয়ে যায়।

খলিফা ওমর বিন আবদুল আজিজ (র.) বলেন, দিনে রোজা রাখা বা রাত জেগে ইবাদত করার নাম তাকওয়া নয়; বরং তাকওয়া হলো আল্লাহ যা ফরজ করেছেন তা মানা এবং যা হারাম করেছেন তা থেকে দূরে থাকা।

তাকওয়া অনুশীলনের সবচেয়ে উত্তম সময় রোজার মাস। আল্লাহর ভয়ে সব ধরনের অন্যায়, অত্যাচার ও পাপাচার বর্জন করে কোরআন ও সুন্নতের নিয়মানুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে, রমজানের আগে এবং পরেও। তাহলেই আল্লাহকে সন্তুষ্ট রাখা যাবে।