০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দ্বিতীয় বারের মত মেয়র হচ্ছেন

নাঙ্গলকোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র হচ্ছেন আব্দুল মালেক

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আবদুল মালেক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। আজ শুক্রবার যাচাই–বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। মেয়র পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় মালেক পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হচ্ছেন।

২০০২ সালের ২২ আগস্ট নাঙ্গলকোট পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১৬ সালের ২০ মার্চের নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আবদুল মালেক প্রথমবার মেয়র হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন পান।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ, লালমাই) আসনের সাংসদ ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নির্বাচনী এলাকা নাঙ্গলকোট পৌরসভা। এই নির্বাচনে তিন আওয়ামী লীগ নেতা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তাঁরা কেউ মনোনয়ন পাননি। ‘স্বশিক্ষিত’ আবদুল মালেক দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। মন্ত্রীর পছন্দের প্রার্থী হওয়ায় এই পৌরসভায় মেয়র পদে আর কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হননি। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় মালেকের জন্য জয় আরও সহজ হলো।

এর আগে তৃতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভা নির্বাচনে বিনা ভোটে মেয়র হন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. আবুল খায়ের। মেয়রের সঙ্গে ৯ কাউন্সিলর ও ৩ সংরক্ষিত কাউন্সিলরও বিনা ভোটে জয়ী হন। ওই নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু ‘ঠুনকো’ অভিযোগে সেটি বাতিল করা হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন বিএনপির প্রার্থী। লাকসাম পৌরসভা কুমিল্লা-৯ আসনের সাংসদ ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের নির্বাচনী এলাকা।

নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল বলেন, ৭ মার্চ নাঙ্গলকোট পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ১৮ মার্চ মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন ছিল। এতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ১ জন, সাধারণ কাউন্সিলর ৬০ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। শুক্রবার বাছাইয়ে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে একজনের মনোনয়নপত্র বিভিন্ন অভিযোগে বাতিল করা হয়। ২৪ মার্চ প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ ২৫ মার্চ ও নির্বাচন ১১ এপ্রিল। এ পৌরসভায় মোট ভোটার ১৯ হাজার ৫১০ জন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল বলেন, নির্বাচনে মেয়র পদে আর কোনো প্রার্থী বা প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনি মেয়র নির্বাচিত হচ্ছেন।

নাঙ্গলকোট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আবদুল মালেক বলেন, ‘পৌরসভাকে তৃতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করেছি আমার সময়ে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, আরসিসি ঢালাই সড়ক, ড্রেন, পুল-কালভার্ট, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ এবং বাজারের সড়ক প্রশস্ত করেছি। ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল ক শ্রেণির পৌরসভাতে উন্নীত হয়। অর্থমন্ত্রীর ছায়া ও মায়ায় আমি মনোনয়ন পেয়েছি। পৌরসভাকে ঢেলে সাজাব।’

লেখকের পরিচিতি

দ্বিতীয় বারের মত মেয়র হচ্ছেন

নাঙ্গলকোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র হচ্ছেন আব্দুল মালেক

আপডেট সময় : ১০:৩৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আবদুল মালেক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। আজ শুক্রবার যাচাই–বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। মেয়র পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় মালেক পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হচ্ছেন।

২০০২ সালের ২২ আগস্ট নাঙ্গলকোট পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১৬ সালের ২০ মার্চের নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আবদুল মালেক প্রথমবার মেয়র হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন পান।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ, লালমাই) আসনের সাংসদ ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নির্বাচনী এলাকা নাঙ্গলকোট পৌরসভা। এই নির্বাচনে তিন আওয়ামী লীগ নেতা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তাঁরা কেউ মনোনয়ন পাননি। ‘স্বশিক্ষিত’ আবদুল মালেক দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। মন্ত্রীর পছন্দের প্রার্থী হওয়ায় এই পৌরসভায় মেয়র পদে আর কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হননি। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় মালেকের জন্য জয় আরও সহজ হলো।

এর আগে তৃতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভা নির্বাচনে বিনা ভোটে মেয়র হন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. আবুল খায়ের। মেয়রের সঙ্গে ৯ কাউন্সিলর ও ৩ সংরক্ষিত কাউন্সিলরও বিনা ভোটে জয়ী হন। ওই নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু ‘ঠুনকো’ অভিযোগে সেটি বাতিল করা হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন বিএনপির প্রার্থী। লাকসাম পৌরসভা কুমিল্লা-৯ আসনের সাংসদ ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের নির্বাচনী এলাকা।

নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল বলেন, ৭ মার্চ নাঙ্গলকোট পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ১৮ মার্চ মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন ছিল। এতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ১ জন, সাধারণ কাউন্সিলর ৬০ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। শুক্রবার বাছাইয়ে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে একজনের মনোনয়নপত্র বিভিন্ন অভিযোগে বাতিল করা হয়। ২৪ মার্চ প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ ২৫ মার্চ ও নির্বাচন ১১ এপ্রিল। এ পৌরসভায় মোট ভোটার ১৯ হাজার ৫১০ জন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল বলেন, নির্বাচনে মেয়র পদে আর কোনো প্রার্থী বা প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনি মেয়র নির্বাচিত হচ্ছেন।

নাঙ্গলকোট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আবদুল মালেক বলেন, ‘পৌরসভাকে তৃতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করেছি আমার সময়ে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, আরসিসি ঢালাই সড়ক, ড্রেন, পুল-কালভার্ট, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ এবং বাজারের সড়ক প্রশস্ত করেছি। ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল ক শ্রেণির পৌরসভাতে উন্নীত হয়। অর্থমন্ত্রীর ছায়া ও মায়ায় আমি মনোনয়ন পেয়েছি। পৌরসভাকে ঢেলে সাজাব।’