কুমিল্লার নাঙ্গলকোট চিওড়া ঢালুয়া সড়কে ডাকাতিয়া নদীরপানি বাড়ছে । মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে সড়কেরপাশে ছিলপাড়া, শাকতলা, ঘোরক মুড়া, শিহর মনতলী, চর জামুরাইল অষ্টগ্রাম, মদনপুর, সাতবাড়িয়া গ্রামে হু হু করে পানি বাড়ছে। আতঙ্ক বাড়ছে আশ্রয়ন কেন্দ্রে থাকা নারী পুরুষের মাঝে। কি হবে শোনার সংসার ঘর বাড়ির । পর্যাপ্ত ত্রাণ না পৌঁছানোর কারণে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে । এসব এলাকার অধিকাংশ গ্রামে এখনো কোন ত্রাণ পৌছায়নি। মুছাপুর বাঁধ ভাঙার কারণে নাঙ্গলকোটের তিনটি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। সোমবার পানির স্রোতে নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া ইউনিয়নেরমন্তলী গ্রামে আকতার আলী(২৬) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গোরস্তানে কোমর সমান পানি থাকায় লাশ দাপনে বিপাকে স্বজনরা।
নাঙ্গলকোট উপজেলারঢালুয়া ইউনিয়নের শিহর গ্রামের আজগর আলি বলেন, আমাদের গ্রামটি ডাকাতিয়া নদীর পাশেই অবস্থিত। গত ৭দিন এ ইউনিয়নের মানুষগুলো পানি বন্দি। খাওয়া-দাওয়া কষ্ট পাচ্ছে। সেই সাথে বিদ্যুৎ মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ।
মদনপুর গ্রামের আতাউর রহমান (৬৯)বলেন আমার জীবনে এই বয়সে এত পানি কোনদিন দেখিনি, ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
মন্তলী গ্রামের আবুল কালাম বলেন আমাদের গ্রামে বুক সমান পানি থাকার কারনে কৈউ ত্রাণ নিয়ে আসেনা, গতকাল দুপুরবেলা খেছুরী খেয়ে কোন রকম বেছে আছি।
সাতবাড়িয়া গ্রামের বিধবা নারী জোসনা বেগম কান্না জনিত কন্ঠে বলেন সব শেয হয়ে গেছে, চাউল, ডাইল পানিতে তলিয়ে গেছে, আপনারা আমাদেরকে সাহায্য করেন।
ঘোরকমুড়া আব্দুল মজিদ (৮০) বলেন, আমাদের ডাকাতিয়া নদির পাশে নিমাঞ্চল হওয়ায় পানি বেড়ে গেছে। খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে এলাকার মানুষ। পানিবন্দি হয়ে আছে লক্ষাধিক মানুষ। সরকারি ত্রাণ তো দূরের কথা, বেসরকারি ত্রাণও পাচ্ছি না। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব।
নাঙ্গলকোট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকি বলেন, উপজেলাটির দুর্গম এলাকাগুলোতে পানিবৃদ্ধি ও যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় এখন পর্যন্ত কোন খাবার পৌছায়নি। তবে আমরা স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে ত্রাণ পৌছানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।