০১:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মহাজনি ব্যবসার লাগাম টানতে ‘কর্জে হাসানা’ প্রবর্তন হোক সর্বত্র

নাঙ্গলকোটে সুদি প্রথা থেকে বাঁচাতে কর্জে হাসানা ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশ

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলাধীন মাইরাগাঁও গ্রামের সাধারণ মানুষকে সুদের ছোবল থেকে বাঁচাতে ইসলামিক ঋণ ব্যবস্থা ‘কর্জে হাসানার’ উদ্যোগ নিয়েছে  গোলাম মোস্তফা ও সামছুন্নাহার ফাউন্ডেশন।
সুদি মহাজনি ব্যবসা সমাজে ক্যান্সার হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষজন সুদের টাকা জোগাতে গিয়ে নিজেরা নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন পাশাপাশি অনেকে নিজের দেহের কিডনি বিক্রি করেছেন। এমন অকালে তরুদের ইসলামিক ঋণ ব্যবস্থা কর্জে হাসানার উদ্যোগ মানুষদের আশার আলো দেখাবে।
নাঙ্গলকোটে ভয়ংকর নামের সুদ ব্যবসা ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষজন সমস্যায় পড়লে এখন আর সহজে টাকা ধার পান না। বাধ্য হয় চড়া সুদে ঋণ নিতে। তাতে সমস্যাটি আরোও প্রকট হয়।
চড়া সুদের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে নিজেরা সর্বস্বান্ত হন। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা গোলাম মোস্তফা ও সামছুন্নাহার ফাউন্ডেশন কর্জে হাসানার উদ্যোগ নিয়েছি। লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলে আমরা বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়াতে পারব। শুধু তারই পাশাপাশি সামাজিক ভাতৃত্ববোধ অটুট হবে থাকবে। নাঙ্গ।লকোটের আনাচেকানাচে অসংখ্য এনজিও এসে বাসা বেঁধেছে।
ঋণ দেয়া ও নেয়ার রেওয়াজ আদিকাল থেকে মানবসমাজে প্রচলিত। ঋণের বিনিময়ে সুদ গ্রহণ, প্রদান ও নানা সুবিধা ভোগ করার নিয়ম ছিল স্বীকৃত প্রথা। ভারতবর্ষ, আরব, রোমান ও পারস্য সভ্যতায় এমন প্রথার নজির দেখা যায়। সপ্তম শতাব্দীতে ইসলামের আগমনের পর ঋণের বিনিময়ে উপঢৌকন, সুদ ও অন্যান্য ‘সুবিধা’ প্রদান ও গ্রহণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়। এই নিষেধাজ্ঞা ছিল বৈশ্বিক প্রথার বিরুদ্ধে উন্মুক্ত চ্যালেঞ্জ। বিনা সুদে ও বিনা লাভে ঋণ প্রদান ‘কর্জে হাসানা’ বা উত্তম ঋণ নামে পরিচিতি লাভ করে। জনকল্যাণ, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন এর মুখ্য উদ্দেশ্য। সুদনির্ভর ‘ক্ষুদ্রঋণ’ মূলত ব্যবসা, আর ‘কর্জে হাসানা’ মানবসেবা, ইবাদত ও পুণ্যকর্ম। ক্ষুদ্রঋণ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ বাড়ে। অন্য দিকে কর্জে হাসানার ক্ষেত্রে এর গ্রহীতা যৌক্তিক কারণে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরিশোধের সময় বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা আছে। এতে পুণ্য বৃদ্ধি পায় দারিদ্র্য মূলত জাতীয় অভিশাপ ও বিশ্বব্যাপী একটা চ্যালেঞ্জ। সম্পদের অসম প্রতিযোগিতায় কিছু ভাগ্যবান মানুষ কোটিপতি হয়ে যায় এবং বিপুলসংখ্যক মানুষ দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত হয়ে বঞ্চিত থাকে। দারিদ্র্য সামাজিক কল্যাণকে বাধাগ্রস্ত করে এবং এতে অপরাধপ্রবণতার সূচক হয় ঊর্ধ্বমুখী। ভূমিহীন ও প্রান্তিক পরিবার মানবাধিকার, পর্যাপ্ত খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি, বস্ত্র, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও স্যানিটেশনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এর পেছনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সামর্থ্যরে সীমাবদ্ধতা, পালাক্রমে ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি, লুটপাট, আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক কারণ বিদ্যমান।

সুরা হাদিদের ১১ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘কে আছে, যে আল্লাহকে দেবে উত্তম ঋণ? তাহলে তিনি বহুগুণে একে তার জন্য বৃদ্ধি করবেন এবং তার জন্য রয়েছে মহা পুরস্কার।’ একই সুরার ১৮ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘দানশীল পুরুষ ও নারী এবং যারা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান করে, তাদের দেওয়া হবে বহুগুণ বেশি আর তাদের জন্য রয়েছে মহা পুরস্কার।’আর সুরা তাগাবুনের ১৭ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও, তিনি তোমাদের জন্য তা বহুগুণে বাড়িয়ে দেবেন, আর তিনি তোমাদের ক্ষমা করবেন। আল্লাহ তো গুণগ্রাহী, সহিষ্ণু।’

বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার প্রতিবেদক একদা আড্ডাকালে কর্জে হাসানা সম্পর্কে বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্যবিমোচন করে না; বরং সামন্তসমাজের ভূমিদাসের মতো এ যুগের মানুষকে একধরনের ঋণদাসে পরিণত করছে। দারিদ্র্যবিমোচনের এ পথ অনুসরণ করার ফলে আমাদের উন্নতির কোনো দিশা আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থার মধ্যেই সংখ্যালঘুর ধনী ও সংখ্যাগরিষ্ঠের গরিব হওয়ার প্রক্রিয়া নিহিত। এই গরিব করা ও গরিব রাখার ব্যবস্থা বহাল রেখে গরিবদের ঋণ দিয়ে ও উচ্চ হারে সুদ নিয়ে কিভাবে গরিবি মোচন হবে? এই অস্বাভাবিক ও বিকৃত চিন্তাকেই আমরা সদলবলে লালন করে আসছি।’
মন্তলী রহমানিয়া ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সম্মানিত সহকারি শিক্ষক নুরুল আফসার তার ফেসবুকে পোস্ট এ বিষয়টি তুলে ধরেন।
মাইরাগাঁও গ্রামবাসীর জন্য সুখবর।
একটি সুদমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে মাইরাগাঁও গোলাম মোস্তফা ও সামছুন্নাহার ফাউন্ডেশন আপনাকে দিচ্ছে কর্জে হাসানা। আপনার জরুরী প্রয়োজনে আপনি নিতে পারেন সম্পূর্ণ বিনা সুদে কর্জে হাসানা/ঋণ। প্রয়োজনীয় শর্ত ও নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে আপনি এ কর্জে হাসানা নিতে পারেন।
প্রায় ৬ মাস ধরে চলমান এ কর্জে হাসানা ফান্ডটিতে আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ জন লোককে কর্জে হাসানা দিয়েছি, আমাদের এ পর্যন্ত বিলিকৃত কর্জে হাসানার পরিমান প্রায় ৯,০০,০০০/- (নয় লক্ষ টাকা)
আপনারাও আপনাদের সমাজে এ রকম ফান্ড তৈরি করতে পারেন যাতে সুদের ছোবল থেকে এ জাতিকে উদ্ধার করা যায়। আল্লাহ সুবহানুতায়ালা সকলকে উত্তম জাযা দান করুক।
যোগাযোগ করুনঃ
ইসমাইল শেখ ফার্মেসী(01888-183449)
মাস্টার মোঃ নুরুল আফছার (০১৮৪৬-৮১১০৩৯)
মোঃ নজরুল ইসলাম হিরণ (01829-967288)
আবদুল কাইয়ুম রকি (01816127758)
মাস্টার মোঃ ইসমাইল হোসেন (01832423415)
ফরহাদ আহমদ (0 1888-187168)
ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম রিপন (01833-310755)
এছাড়াও কমিটির আরো অনেক সদস্য ও উপদেষ্টা রয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

শুভেচ্ছান্তেঃ
মোঃ গোলাম কিবরিয়া সুজন
চেয়ারম্যান
গোলাম মোস্তফা ও সামছুন্নাহার ফাউন্ডেশন
মাইরাগাঁও, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।
লেখকের পরিচিতি

ভয়াবহ বন্যায় নাঙ্গলকোটের সিংহভাগ সড়ক বিধ্বস্ত!

মহাজনি ব্যবসার লাগাম টানতে ‘কর্জে হাসানা’ প্রবর্তন হোক সর্বত্র

নাঙ্গলকোটে সুদি প্রথা থেকে বাঁচাতে কর্জে হাসানা ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশ

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলাধীন মাইরাগাঁও গ্রামের সাধারণ মানুষকে সুদের ছোবল থেকে বাঁচাতে ইসলামিক ঋণ ব্যবস্থা ‘কর্জে হাসানার’ উদ্যোগ নিয়েছে  গোলাম মোস্তফা ও সামছুন্নাহার ফাউন্ডেশন।
সুদি মহাজনি ব্যবসা সমাজে ক্যান্সার হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষজন সুদের টাকা জোগাতে গিয়ে নিজেরা নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন পাশাপাশি অনেকে নিজের দেহের কিডনি বিক্রি করেছেন। এমন অকালে তরুদের ইসলামিক ঋণ ব্যবস্থা কর্জে হাসানার উদ্যোগ মানুষদের আশার আলো দেখাবে।
নাঙ্গলকোটে ভয়ংকর নামের সুদ ব্যবসা ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষজন সমস্যায় পড়লে এখন আর সহজে টাকা ধার পান না। বাধ্য হয় চড়া সুদে ঋণ নিতে। তাতে সমস্যাটি আরোও প্রকট হয়।
চড়া সুদের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে নিজেরা সর্বস্বান্ত হন। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা গোলাম মোস্তফা ও সামছুন্নাহার ফাউন্ডেশন কর্জে হাসানার উদ্যোগ নিয়েছি। লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলে আমরা বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়াতে পারব। শুধু তারই পাশাপাশি সামাজিক ভাতৃত্ববোধ অটুট হবে থাকবে। নাঙ্গ।লকোটের আনাচেকানাচে অসংখ্য এনজিও এসে বাসা বেঁধেছে।
ঋণ দেয়া ও নেয়ার রেওয়াজ আদিকাল থেকে মানবসমাজে প্রচলিত। ঋণের বিনিময়ে সুদ গ্রহণ, প্রদান ও নানা সুবিধা ভোগ করার নিয়ম ছিল স্বীকৃত প্রথা। ভারতবর্ষ, আরব, রোমান ও পারস্য সভ্যতায় এমন প্রথার নজির দেখা যায়। সপ্তম শতাব্দীতে ইসলামের আগমনের পর ঋণের বিনিময়ে উপঢৌকন, সুদ ও অন্যান্য ‘সুবিধা’ প্রদান ও গ্রহণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়। এই নিষেধাজ্ঞা ছিল বৈশ্বিক প্রথার বিরুদ্ধে উন্মুক্ত চ্যালেঞ্জ। বিনা সুদে ও বিনা লাভে ঋণ প্রদান ‘কর্জে হাসানা’ বা উত্তম ঋণ নামে পরিচিতি লাভ করে। জনকল্যাণ, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন এর মুখ্য উদ্দেশ্য। সুদনির্ভর ‘ক্ষুদ্রঋণ’ মূলত ব্যবসা, আর ‘কর্জে হাসানা’ মানবসেবা, ইবাদত ও পুণ্যকর্ম। ক্ষুদ্রঋণ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ বাড়ে। অন্য দিকে কর্জে হাসানার ক্ষেত্রে এর গ্রহীতা যৌক্তিক কারণে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরিশোধের সময় বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা আছে। এতে পুণ্য বৃদ্ধি পায় দারিদ্র্য মূলত জাতীয় অভিশাপ ও বিশ্বব্যাপী একটা চ্যালেঞ্জ। সম্পদের অসম প্রতিযোগিতায় কিছু ভাগ্যবান মানুষ কোটিপতি হয়ে যায় এবং বিপুলসংখ্যক মানুষ দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত হয়ে বঞ্চিত থাকে। দারিদ্র্য সামাজিক কল্যাণকে বাধাগ্রস্ত করে এবং এতে অপরাধপ্রবণতার সূচক হয় ঊর্ধ্বমুখী। ভূমিহীন ও প্রান্তিক পরিবার মানবাধিকার, পর্যাপ্ত খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি, বস্ত্র, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও স্যানিটেশনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এর পেছনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সামর্থ্যরে সীমাবদ্ধতা, পালাক্রমে ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি, লুটপাট, আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক কারণ বিদ্যমান।

সুরা হাদিদের ১১ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘কে আছে, যে আল্লাহকে দেবে উত্তম ঋণ? তাহলে তিনি বহুগুণে একে তার জন্য বৃদ্ধি করবেন এবং তার জন্য রয়েছে মহা পুরস্কার।’ একই সুরার ১৮ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘দানশীল পুরুষ ও নারী এবং যারা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান করে, তাদের দেওয়া হবে বহুগুণ বেশি আর তাদের জন্য রয়েছে মহা পুরস্কার।’আর সুরা তাগাবুনের ১৭ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও, তিনি তোমাদের জন্য তা বহুগুণে বাড়িয়ে দেবেন, আর তিনি তোমাদের ক্ষমা করবেন। আল্লাহ তো গুণগ্রাহী, সহিষ্ণু।’

বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার প্রতিবেদক একদা আড্ডাকালে কর্জে হাসানা সম্পর্কে বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্যবিমোচন করে না; বরং সামন্তসমাজের ভূমিদাসের মতো এ যুগের মানুষকে একধরনের ঋণদাসে পরিণত করছে। দারিদ্র্যবিমোচনের এ পথ অনুসরণ করার ফলে আমাদের উন্নতির কোনো দিশা আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থার মধ্যেই সংখ্যালঘুর ধনী ও সংখ্যাগরিষ্ঠের গরিব হওয়ার প্রক্রিয়া নিহিত। এই গরিব করা ও গরিব রাখার ব্যবস্থা বহাল রেখে গরিবদের ঋণ দিয়ে ও উচ্চ হারে সুদ নিয়ে কিভাবে গরিবি মোচন হবে? এই অস্বাভাবিক ও বিকৃত চিন্তাকেই আমরা সদলবলে লালন করে আসছি।’
মন্তলী রহমানিয়া ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সম্মানিত সহকারি শিক্ষক নুরুল আফসার তার ফেসবুকে পোস্ট এ বিষয়টি তুলে ধরেন।
মাইরাগাঁও গ্রামবাসীর জন্য সুখবর।
একটি সুদমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে মাইরাগাঁও গোলাম মোস্তফা ও সামছুন্নাহার ফাউন্ডেশন আপনাকে দিচ্ছে কর্জে হাসানা। আপনার জরুরী প্রয়োজনে আপনি নিতে পারেন সম্পূর্ণ বিনা সুদে কর্জে হাসানা/ঋণ। প্রয়োজনীয় শর্ত ও নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে আপনি এ কর্জে হাসানা নিতে পারেন।
প্রায় ৬ মাস ধরে চলমান এ কর্জে হাসানা ফান্ডটিতে আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ জন লোককে কর্জে হাসানা দিয়েছি, আমাদের এ পর্যন্ত বিলিকৃত কর্জে হাসানার পরিমান প্রায় ৯,০০,০০০/- (নয় লক্ষ টাকা)
আপনারাও আপনাদের সমাজে এ রকম ফান্ড তৈরি করতে পারেন যাতে সুদের ছোবল থেকে এ জাতিকে উদ্ধার করা যায়। আল্লাহ সুবহানুতায়ালা সকলকে উত্তম জাযা দান করুক।
যোগাযোগ করুনঃ
ইসমাইল শেখ ফার্মেসী(01888-183449)
মাস্টার মোঃ নুরুল আফছার (০১৮৪৬-৮১১০৩৯)
মোঃ নজরুল ইসলাম হিরণ (01829-967288)
আবদুল কাইয়ুম রকি (01816127758)
মাস্টার মোঃ ইসমাইল হোসেন (01832423415)
ফরহাদ আহমদ (0 1888-187168)
ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম রিপন (01833-310755)
এছাড়াও কমিটির আরো অনেক সদস্য ও উপদেষ্টা রয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

শুভেচ্ছান্তেঃ
মোঃ গোলাম কিবরিয়া সুজন
চেয়ারম্যান
গোলাম মোস্তফা ও সামছুন্নাহার ফাউন্ডেশন
মাইরাগাঁও, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।