আমরা অনেকেই সন্তানের নাম রাখার ক্ষেত্রে কুরআন হাদীসের শব্দ দেখি। এটি ভালো গুণ। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু মারাত্মক ভুল রয়েছে। শুধু কুরআনের শব্দ দেখলেই রাখা যাবে না, আগে বিজ্ঞ একজন আলেম বা আরবি ভাষায় দক্ষ একজন মানুষকে নামের অর্থ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন। না হয়, বড় ধরণের ভুল হতে পারে আমাদের।
সেদিন একজনে বললো, হুজুর মেয়ের নাম রাখতে চাচ্ছি ‘তুকাজ্জিবান’। সে বলছে; এটি তো সুন্দর। সুরা আর-রাহমানে অনেকবার আসছে শব্দটি। আমি বললাম; আসতাগফিরুল্লাহ! আপনি এ নামের অর্থ জানেন!?
কোরআন শরিফের কত জায়গায় তুকাজ্জিবান নাম রয়েছে। তুকাজ্জিবান শব্দটি সূরা আর-রাহমানের একটি আয়াতের অংশ ঠিকাছে। যার অর্থ হলো “অস্বীকার করা, মিথ্যুক”। আর তুকাজ্জিবান আসলে কোনো নাম নয়। এবং এরকম নাম রাখাটাও উচিত নয়। কেননা শুধু কোরআনে থাকলেই ইসলামিক নাম হয় না। এক্ষেত্রে নামের অর্থের দিকে একটু নজর রাখতে হবে। প্রত্যেক সন্তানের ভালো অর্থবোধক নাম হওয়া বাঞ্চনীয়। তাই বলা যায়, তুকাজ্জিবান নাম রাখাটাও জায়েজ হবে না।
একটি কথা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন!
বিশ্ব নবী রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের মাঠে প্রত্যেকটি মানুষকে তার নাম এবং পিতার নামসহ ডাকা হবে। অনেক মানুষ তাদের নামের কারণে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আবার অনেক মানুষ নামের কারণেই জাহান্নামে যাবে।
বিশ্ব নবী রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের মাঠে প্রত্যেকটি মানুষকে তার নাম এবং পিতার নামসহ ডাকা হবে। অনেক মানুষ তাদের নামের কারণে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আবার অনেক মানুষ নামের কারণেই জাহান্নামে যাবে।
আল্লাহর নির্দেশ : নাম রাখার গুরুত্ব সম্পর্কেও ইসলামে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, `হে জাকারিয়া, আমি (আল্লাহ) তোমাকে একপুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি। তার নাম হবে ইয়াহইয়া। এই নামে এর আগে আমি কারও নামকরণ করিনি। [সূরা মারিয়াম, আয়াত : ৭ (দ্বিতীয় পর্ব)]
সুন্দর ও অর্থবোধক নাম রাখা : সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখার ব্যাপারে হজরত রাসূল (সা.) গুরুত্বারোপ করেছেন। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সুন্দর ও অর্থবোধক নাম রাখা মাতা-পিতা ও অভিভাবকের ওপর অপরিহার্য কর্তব্য। আল্লাহ তা’য়ালার গুণবাচক নামের সঙ্গে সংযুক্ত করে এবং তার প্রিয় বান্দাদের নামে নামকরণ করা উত্তম।
প্রত্যেকটি সন্তান পৃথিবীতে জন্ম নেয়ার পর পিতা-মাতার সর্বপ্রথম দায়িত্ব হলা সন্তানের সুন্দর একটি নাম রাখা।