০২:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় নাঙ্গলকোটে দ্যুতি ছড়াচ্ছে টিম সংশপ্তক

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের গড়া টিম সংশপ্তক নাঙ্গলকোটে ১৭ টি টিম গঠন করে কাজ করছে

মহামারি করোনার কারণে কোনো কিছুই আর আগের মতো নেই। কয়েক দিনের ব্যবধানে পাল্টে গেছে পুরো দুনিয়ার চিত্র। দেশে দেশে চলছে লকডাউন, কারফিউ কিংবা জরুরি অবস্থা। যানবাহন বন্ধ, শূন্য পর্যটন নগরীগুলো। কর্মজীবী মানুষগুলোর কর্ম ব্যস্ততার চিত্র এখন আর দেওয়া যায় না। কল কারখানা, অফিস-আদালতের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী চলে গেছেন নিজের শিকড়ে, নিজ গ্রামে। এর ব্যত্যয় ঘটেনি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে।

নিজ এলাকার অসহায় খেটে খাওয়া দিন মজুর মানুষগুলোর অন্নের অভাবে বোবা আর্তনাদ দেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এ সব বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। নিম্ন আয়ের এ সব মানুষের দুঃখ কিছুটা লাগব করতে শিক্ষার্থীরা গঠন করেছেন টিম সংশপ্তক। নাঙ্গলকোটের ১৬ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জন্য ১৭ টি টিম গঠন করে সংশপ্তক। নাঙ্গলকোটের স্থানীয় সামর্থ্যবান ব্যক্তিবর্গ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে উপজেলার প্রায় ১ হাজারের বেশি পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে টিম সংশপ্তক। এ ছাড়া টিম সংশপ্তকের উদ্যোগে গ্রামের মানুষের মাঝে করোনা নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হয়।

টিম সংশপ্তকের সমন্বয়ক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সংশপ্তক’র মোট ৬৩৩ জন সাধারণ সদস্য এবং ১৩ জন ডাক্তার ও ৪১ মেডিকেল স্টুডেন্ট মিলে মোট ১৭ টি টিমে ভাগ হয়ে গত তিন সপ্তাহ ধরে নাঙ্গলকোট উপজেলার সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। নাঙ্গলকোটের সাধারণ জনগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসন আমাদের এই মহৎ কাজে সহযোগিতা করেছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে থাকার জন্য এগিয়ে এসেছে। আমরা ১ হাজারের বেশি কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি এবং সামনেও আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।

সংশপ্তকের উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম স্বপ্নীল বলেন, দিনমজুর, অসহায়, দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে টানা কয়েকটি রাত নির্ঘুম থেকে সংশপ্তকের সাহসী, প্রত্যয়ী যোদ্ধারা নিরলসভাবে কাজ করেছে। ভবিষ্যতে যেকোনো বিপর্যয় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্বেচ্ছাসেবী টিম সংশপ্তক মা-মাটি-দেশকে ভালোবেসে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাবে। সংশপ্তককে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

*লেখক: শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লেখকের পরিচিতি

ভয়াবহ বন্যায় নাঙ্গলকোটের সিংহভাগ সড়ক বিধ্বস্ত!

করোনায় নাঙ্গলকোটে দ্যুতি ছড়াচ্ছে টিম সংশপ্তক

আপডেট সময় : ০৬:০৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০

মহামারি করোনার কারণে কোনো কিছুই আর আগের মতো নেই। কয়েক দিনের ব্যবধানে পাল্টে গেছে পুরো দুনিয়ার চিত্র। দেশে দেশে চলছে লকডাউন, কারফিউ কিংবা জরুরি অবস্থা। যানবাহন বন্ধ, শূন্য পর্যটন নগরীগুলো। কর্মজীবী মানুষগুলোর কর্ম ব্যস্ততার চিত্র এখন আর দেওয়া যায় না। কল কারখানা, অফিস-আদালতের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী চলে গেছেন নিজের শিকড়ে, নিজ গ্রামে। এর ব্যত্যয় ঘটেনি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে।

নিজ এলাকার অসহায় খেটে খাওয়া দিন মজুর মানুষগুলোর অন্নের অভাবে বোবা আর্তনাদ দেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এ সব বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। নিম্ন আয়ের এ সব মানুষের দুঃখ কিছুটা লাগব করতে শিক্ষার্থীরা গঠন করেছেন টিম সংশপ্তক। নাঙ্গলকোটের ১৬ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জন্য ১৭ টি টিম গঠন করে সংশপ্তক। নাঙ্গলকোটের স্থানীয় সামর্থ্যবান ব্যক্তিবর্গ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে উপজেলার প্রায় ১ হাজারের বেশি পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে টিম সংশপ্তক। এ ছাড়া টিম সংশপ্তকের উদ্যোগে গ্রামের মানুষের মাঝে করোনা নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হয়।

টিম সংশপ্তকের সমন্বয়ক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সংশপ্তক’র মোট ৬৩৩ জন সাধারণ সদস্য এবং ১৩ জন ডাক্তার ও ৪১ মেডিকেল স্টুডেন্ট মিলে মোট ১৭ টি টিমে ভাগ হয়ে গত তিন সপ্তাহ ধরে নাঙ্গলকোট উপজেলার সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। নাঙ্গলকোটের সাধারণ জনগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসন আমাদের এই মহৎ কাজে সহযোগিতা করেছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে থাকার জন্য এগিয়ে এসেছে। আমরা ১ হাজারের বেশি কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি এবং সামনেও আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।

সংশপ্তকের উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম স্বপ্নীল বলেন, দিনমজুর, অসহায়, দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে টানা কয়েকটি রাত নির্ঘুম থেকে সংশপ্তকের সাহসী, প্রত্যয়ী যোদ্ধারা নিরলসভাবে কাজ করেছে। ভবিষ্যতে যেকোনো বিপর্যয় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্বেচ্ছাসেবী টিম সংশপ্তক মা-মাটি-দেশকে ভালোবেসে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাবে। সংশপ্তককে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

*লেখক: শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়