খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে একটি পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পাঁচজন অসুস্থ হন। গতকাল শনিবার ভোরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার উল্লাখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
উল্লাখালি গ্রামের অন্তত দুজন বাসিন্দা জানান, গত শুক্রবার রাতে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা উল্লাখালি গ্রামের দানু ভূঁইয়ার বাড়ির রান্নাঘরে রাখা খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দেয়। এরপর রাতে পরিবারের লোকজন নেশাজাতীয় দ্রব্য মেশানো খাবার সাহ্রির সময় খেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। ওই সময় ওই বাড়ির প্রবাসী আবদুল মোতালেবের স্ত্রী শামছুন্নাহার মুক্তা নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন।
গতকাল ভোর সাড়ে চারটায় মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে শামছুন্নাহারের হাতের সোনার ব্রেসলেট ছিনিয়ে নেয়। এ সময় শামছুন্নাহার টের পেয়ে দুর্বৃত্তদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন। তখন দুর্বৃত্তরা শামছুন্নাহারের গলায় ছুরি ধরে হত্যার চেষ্টা চালায় এবং তাঁকে টর্চলাইট দিয়ে পিটিয়ে এবং হাত ও মুখে ছুরিকাঘাত করে গলার চেইন, হাতের ব্রেসলেট, কানের দুল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
দুর্বৃত্তদের মারধরে আহত শামছুন্নাহার মুক্তা (২৭) এবং নেশাজাতীয় দ্রব্যমিশ্রিত খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া মুনছুর আলম ভূঁইয়া (৩৫), তাঁর মেয়ে প্রিয়াংকা (২২) এবং রাজমিস্ত্রি নুর আলম (৪৫) ও মোবারক হোসেনকে (৩৫) নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত পাঁচ মাসের ব্যবধানে নাঙ্গলকোটের অন্তত ছয়টি পরিবারের খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে সবাইকে অচেতন করে মালামাল লুট করার ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এর আগে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’