১১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই দিন ধরে মর্গের মেঝেতে পড়ে আছে গৃহবধূর লাশ!

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনের মেঝেতে দুই দিন ধরে পড়ে আছে নুরুন্নাহার নামের এক গৃহবধূর লাশ। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্বামীর দেওয়া আগুনে তিনি গুরুতর দগ্ধ হন। পরে গত মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় নুরুন্নাহারের। এ ঘটনায় গত বুধবার নাঙ্গলকোট থানায় মামলা হয়েছে। আসামিরা হলেন আবদুল কুদ্দুস (৩৫), আবদুল কাদের (৪০), ময়না বেগম (৬০), পান্না আক্তার (৩০), ফাহিমা আক্তার (২৫) ও মুরাদ হোসেন (৩০)। মুরাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পোশাকশ্রমিক আবদুল কুদ্দুসের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে একই গ্রামের নুরুন্নাহারের (২৫) বিয়ে হয়। যৌতুকের দাবিতে ১২ জুলাই রাত ১১টার দিকে নুরুন্নাহারের গায়ে কেরোসিন ঢেলে তাঁর স্বামী আগুন দেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে গত শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালেই নুরুন্নাহারের মৃত্যু হয়। বুধবার সকালে তাঁর লাশ গ্রামের বাড়ি আনা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাসপাতালের মর্গের সামনের মেঝেতে নুরুন্নাহারের লাশ পড়ে ছিল।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, মৃত্যুসনদ ও সুরতহাল প্রতিবেদন না থাকায় ওই নারীর ময়নাতদন্ত হয়নি। নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার নাথ বলেন, ‘আমরা সুরতহাল প্রতিবেদন দিয়েই লাশ মর্গে লাশ পাঠিয়েছি।’

ট্যাগ :
লেখকের পরিচিতি

দুই দিন ধরে মর্গের মেঝেতে পড়ে আছে গৃহবধূর লাশ!

আপডেট সময় : ০৬:১৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৩

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনের মেঝেতে দুই দিন ধরে পড়ে আছে নুরুন্নাহার নামের এক গৃহবধূর লাশ। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্বামীর দেওয়া আগুনে তিনি গুরুতর দগ্ধ হন। পরে গত মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় নুরুন্নাহারের। এ ঘটনায় গত বুধবার নাঙ্গলকোট থানায় মামলা হয়েছে। আসামিরা হলেন আবদুল কুদ্দুস (৩৫), আবদুল কাদের (৪০), ময়না বেগম (৬০), পান্না আক্তার (৩০), ফাহিমা আক্তার (২৫) ও মুরাদ হোসেন (৩০)। মুরাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পোশাকশ্রমিক আবদুল কুদ্দুসের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে একই গ্রামের নুরুন্নাহারের (২৫) বিয়ে হয়। যৌতুকের দাবিতে ১২ জুলাই রাত ১১টার দিকে নুরুন্নাহারের গায়ে কেরোসিন ঢেলে তাঁর স্বামী আগুন দেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে গত শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালেই নুরুন্নাহারের মৃত্যু হয়। বুধবার সকালে তাঁর লাশ গ্রামের বাড়ি আনা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাসপাতালের মর্গের সামনের মেঝেতে নুরুন্নাহারের লাশ পড়ে ছিল।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, মৃত্যুসনদ ও সুরতহাল প্রতিবেদন না থাকায় ওই নারীর ময়নাতদন্ত হয়নি। নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার নাথ বলেন, ‘আমরা সুরতহাল প্রতিবেদন দিয়েই লাশ মর্গে লাশ পাঠিয়েছি।’