০৩:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাঙ্গলকোটে সেনা সদস্য হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় সেনাবাহিনীর এক সৈনিককে ছুরিকাঘাতের পর ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। একই সঙ্গে অপর এক আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান এই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি রায় ঘোষণার সময় কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চারজন হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর বাদানিয়া কলোনি এলাকার মো. সিরাজুল ইসলাম (৪০), চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মৌলভীপাড়া গ্রামের জনি প্রকাশ নয়ন (২৩), বিজয়নগর উপজেলার উথারিয়াপাড়া এলাকার উজ্জ্বল মিয়া প্রকাশ ওরফে ইয়াছিন প্রকাশ ওরফে পিচ্চি ভাগিনা প্রকাশ কালা (২০) ও হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মশাখালী গ্রামের প্রদীপ দাস (২২)। ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব গ্রামের আলী আক্কাছ (৩৫)।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর রাত ৯টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ১ নম্বর মেইল ট্রেনে ওঠেন বগুড়া সেনানিবাসের সৈনিক মো. আবদুর রহমান। পরে ২২ অক্টোবর সকালে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট রেলস্টেশনের দক্ষিণে গোত্রশাল দিঘির পশ্চিম পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত আবদুর রহমানের বাবা চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনের গাঁও এলাকার বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে কয়েক দফায় মামলার আসামি সিরাজুল, জনি, আক্কাছ, প্রদীপ ও উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে চার আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, ডাকাতির উদ্দেশ্যে তাঁরা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই লাকসাম রেলওয়ে থানার তিন উপপরিদর্শক (এসআই) নফিল উদ্দিন, মেহেদী মাসুদ ও আতাউর রহমান আদালতে পাঁচ আসামির নামে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী নাঈমা সুলতানা বলেন, আসামিরা এই রায়ে অসন্তুষ্ট। তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন।

এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মুঠোফোনে মামলার বাদী মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এ রায়ে অত্যন্ত খুশি। আমার তিন ছেলের মধ্যে আবদুর রহমান সবার বড়। পায়ের ব্যথার কারণে আজ কুমিল্লার আদালতে হাজির হতে পারিনি।’

লেখকের পরিচিতি

ভয়াবহ বন্যায় নাঙ্গলকোটের সিংহভাগ সড়ক বিধ্বস্ত!

নাঙ্গলকোটে সেনা সদস্য হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় সেনাবাহিনীর এক সৈনিককে ছুরিকাঘাতের পর ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। একই সঙ্গে অপর এক আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান এই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি রায় ঘোষণার সময় কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চারজন হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর বাদানিয়া কলোনি এলাকার মো. সিরাজুল ইসলাম (৪০), চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মৌলভীপাড়া গ্রামের জনি প্রকাশ নয়ন (২৩), বিজয়নগর উপজেলার উথারিয়াপাড়া এলাকার উজ্জ্বল মিয়া প্রকাশ ওরফে ইয়াছিন প্রকাশ ওরফে পিচ্চি ভাগিনা প্রকাশ কালা (২০) ও হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মশাখালী গ্রামের প্রদীপ দাস (২২)। ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব গ্রামের আলী আক্কাছ (৩৫)।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর রাত ৯টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ১ নম্বর মেইল ট্রেনে ওঠেন বগুড়া সেনানিবাসের সৈনিক মো. আবদুর রহমান। পরে ২২ অক্টোবর সকালে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট রেলস্টেশনের দক্ষিণে গোত্রশাল দিঘির পশ্চিম পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত আবদুর রহমানের বাবা চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনের গাঁও এলাকার বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে কয়েক দফায় মামলার আসামি সিরাজুল, জনি, আক্কাছ, প্রদীপ ও উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে চার আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, ডাকাতির উদ্দেশ্যে তাঁরা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই লাকসাম রেলওয়ে থানার তিন উপপরিদর্শক (এসআই) নফিল উদ্দিন, মেহেদী মাসুদ ও আতাউর রহমান আদালতে পাঁচ আসামির নামে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী নাঈমা সুলতানা বলেন, আসামিরা এই রায়ে অসন্তুষ্ট। তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন।

এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মুঠোফোনে মামলার বাদী মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এ রায়ে অত্যন্ত খুশি। আমার তিন ছেলের মধ্যে আবদুর রহমান সবার বড়। পায়ের ব্যথার কারণে আজ কুমিল্লার আদালতে হাজির হতে পারিনি।’