
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে সহিংসতায় শাকিল হোসেন নামের এক তরুণ নিহত হওয়ার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও মামলা হয়নি। পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি ওই ইউনিয়নে ভোট হওয়ার কথা।
অভিযোগ আছে, এক পক্ষ চায় বেছে বেছে পুরো ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের নামে মামলা দিতে। পরিবার চায়, হত্যাকাণ্ডে যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের নামে মামলা দিতে। এ কারণে ঘটনার তিন দিনেও কোনো মামলা হয়নি।
শাকিল পেরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম এ হামিদের অনুসারী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত আটটায় পেরিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হামিদের নির্বাচনী পথসভা চলছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মজুমদারের অনুসারী বাবুল গাজী, সোহরাব হোসেন, শাহাব উদ্দিন, অলিউল্লাহ, হুমায়ুন কবির, কাউসার আহমেদ, মনির হোসেন, স্বপন মিয়াসহ অন্তত ৩০ জন দেশীয় অস্ত্র ও হকিস্টিক নিয়ে পথসভায় হামলা চালান।
এতে আশারকোটা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে শাকিল হোসেনসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। চিকিত্সাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে মারা যান শাকিল।
শাকিলের ফুফাতো ভাই মো. রুবেল বলেন, ‘মামলার আসামি কারা হবেন, তা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা মামলা করিনি।’
শাকিলের বাবা আবুল খায়ের বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। খেতখামারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আল্লাহর কাছে বিচার চাই।’
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, ‘মামলা নেওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। তিন দিনে মামলা করতে আসেননি কেউ। রবি ও শনিবার দুজন পুলিশ পাঠানো হয়েছে শাকিলের বাড়িতে। তবু মামলা করছে না পরিবার।’