০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নতুন হাওয়ায় নাঙ্গলকোটের রাজনীতি

সম্মেলনের তিন মাসের মধ্যে নাঙ্গলকোট আওয়ামী লীগে ভাঙন

নাঙ্গলকোট মহিলা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ আবু ইউসুফকে (বাঁয়ে) সভাপতি ও কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য আবু বকর সিদ্দিককে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণার প্রস্তুতি চলছেছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তিন মাসের মধ্যে বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি দেওয়া হচ্ছে। নাঙ্গলকোট মহিলা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ আবু ইউসুফকে সভাপতি এবং কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য আবু বকর সিদ্দিককে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে।

আজ রোববার দুপুরে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ ও লালমাই) আসনের সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্বাক্ষর করেন।

এরপর কমিটির তালিকা পাঠানো হয় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল হকের কাছে। সন্ধ্যায় মুজিবুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমান কমিটি ভাঙনের পথে। নতুন কমিটি প্রক্রিয়াধীন।’

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সম্মেলনের কয়েক দিন পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন কালুকে সভাপতি এবং ভাইস চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে দলের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ নতুন কমিটি করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল হকের কাছে পাঠান। দুপুরে মুজিবুল হক ওই কমিটি হাতে পেয়েছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ এক সহচর প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।

নতুন কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ঢালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাজমুল হাছান বাছির ভূঁইয়াকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাইফউদ্দিন আলমগীরকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নতুন কমিটির একটি তালিকা ছড়িয়ে পড়েছে।

নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন কালু বলেন, ‘সম্মেলন হলো তিন মাস আগে। কমিটিও হলো। আমিও শুনেছি, কমিটি ভাঙছে। কী দোষ জানি না। আমি তো তৃণমূলের কর্মী। কর্মী হয়ে থাকব। ২০০৬ সালে ভোটের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক হই। দলের জন্য কাজ করে সভাপতি হয়েছি। দলের নেতৃত্বে আমি না থাকলে বিএনপি খুশি হবে। আমার কারণে নাঙ্গলকোটে ওরা কিছু করতে পারে না। কমিটির ভাঙন জেলার সিদ্ধান্ত। এখানে আমার কিছুই বলার নেই।’

লেখকের পরিচিতি

ভয়াবহ বন্যায় নাঙ্গলকোটের সিংহভাগ সড়ক বিধ্বস্ত!

নতুন হাওয়ায় নাঙ্গলকোটের রাজনীতি

সম্মেলনের তিন মাসের মধ্যে নাঙ্গলকোট আওয়ামী লীগে ভাঙন

আপডেট সময় : ০৪:২১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তিন মাসের মধ্যে বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি দেওয়া হচ্ছে। নাঙ্গলকোট মহিলা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ আবু ইউসুফকে সভাপতি এবং কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য আবু বকর সিদ্দিককে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে।

আজ রোববার দুপুরে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ ও লালমাই) আসনের সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্বাক্ষর করেন।

এরপর কমিটির তালিকা পাঠানো হয় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল হকের কাছে। সন্ধ্যায় মুজিবুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমান কমিটি ভাঙনের পথে। নতুন কমিটি প্রক্রিয়াধীন।’

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সম্মেলনের কয়েক দিন পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন কালুকে সভাপতি এবং ভাইস চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে দলের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ নতুন কমিটি করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল হকের কাছে পাঠান। দুপুরে মুজিবুল হক ওই কমিটি হাতে পেয়েছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ এক সহচর প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।

নতুন কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ঢালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাজমুল হাছান বাছির ভূঁইয়াকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাইফউদ্দিন আলমগীরকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নতুন কমিটির একটি তালিকা ছড়িয়ে পড়েছে।

নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন কালু বলেন, ‘সম্মেলন হলো তিন মাস আগে। কমিটিও হলো। আমিও শুনেছি, কমিটি ভাঙছে। কী দোষ জানি না। আমি তো তৃণমূলের কর্মী। কর্মী হয়ে থাকব। ২০০৬ সালে ভোটের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক হই। দলের জন্য কাজ করে সভাপতি হয়েছি। দলের নেতৃত্বে আমি না থাকলে বিএনপি খুশি হবে। আমার কারণে নাঙ্গলকোটে ওরা কিছু করতে পারে না। কমিটির ভাঙন জেলার সিদ্ধান্ত। এখানে আমার কিছুই বলার নেই।’