কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মৎস ব্যবসায়ী এয়াছিনের মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার প্রিয়াংকা তাকে-সহ পরিবারের লোকদেরকে হত্যা ও তার শিশুপুত্র এবং কন্যা’কে অপহরণের হুমকির বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ করে। বৃহস্পতিবার অভিযোগ তদন্তে যান নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক উজ্জ্বল সঙ্গীয় ফোর্স। তদন্ত শেষে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসার পর শ্রীরাম পুর গ্রামের আব্দুর রশিদ, নবী, ইসহাক, তাদের স্ত্রী, মেয়ে, পুত্রবধূ ও ইসহাকের মেয়ে জামাতা একই উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের পরিকোট গ্রামের রবিউল মামলার বাদী ইয়াছমিন আক্তার প্রিয়াংকার উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় প্রিয়াংকার আত্মচিৎকারে তার মা খোদেজা বেগম ও ছোট বোন স্বর্ণালী আক্তার এগিয়ে গেলে তাদের উপরও এলোপাতাড়ি হামলা এবং বাড়ি ঘরে ভাংচুর চালায়। খবর শুনে পুলিশ পুনঃরায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে স্থানীয়রা আহত ৩জনকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে ইয়াছমিন আক্তার প্রিয়াংকার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মোহাম্মদ ইয়াছিনের মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার প্রিয়াংকার বিয়ে হয় একই উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের কনকৈইজ গ্রামে। প্রিয়াংকার স্বামী মাঈন উদ্দিন সুজন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে যৌথ ভাবে ব্যবসা করেন। গত ৬ মাস পূর্বে সুজনের চাচা শ্বশুর আব্দুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ জীবন ভ্রমণ ভিসায় দুবাইতে যান। সেখানে গিয়ে সে কোন চাকুরি না পাওয়ায় চাচাত বোনের স্বামী মাঈন উদ্দিন সুজনের কাছে যায়। সুজন চাচাত শ্যালক জীবনকে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় কর্মী হিসেবে চাকুরি দেন। চাকুরি দেয়ার কিছু দিন পর থেকে জীবন বিক্রয়কৃত মালের সাথে টাকার হিসেব দিতে না পারায় সুজনের পার্টনার তাকে সন্দেহ করে পাহারা দিয়ে হাতেনাতে চুরির টাকা-সহ আটক করে তার কাছ থেকে পাসপোর্ট রেখে দেয়। এ ঘটনা জীবন তার পরিবারের লোকদের জানালে গত ১০/১২ দিন পূর্ব থেকে অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ, নবী, ইসহাক ও তাদের পরিবারের লোকজন সুজনের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার প্রিয়াংকা, শ্বশুর ইয়াছিনকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়াও, সুজনের শিশু পুত্র সাব্বির হোসেন আরিয়ান ও কন্যা সাহেরা মাঈন উদ্দিন সাপরাকে অপহরণের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় তাদের উপর বৃহস্পতিবার এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক উজ্জ্বল বলেন, খবর পেয়ে আমরা পুনঃরায় ঘটনাস্থলে গিয়েছি, উভয় পক্ষকে থানায় আসতে বলেছি।